বাংলাদেশ এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিবরা হায়দ্রাবাদ হাউসে এক বৈঠকে তিস্তা চুক্তি এবং অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তির দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিস্তা চুক্তি
সালটা ২০১১। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রুটিন বৈঠক ছিল সেটা।তবে দীর্ঘ বারো বছর পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ওই সপ্তাহেই দ্বিপাক্ষিক সফরে বাংলাদেশ যাচ্ছেন, তাই সেই সফর সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও মিটিংয়ের এজেন্ডায় ছিল।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে একটি খসড়া চুক্তির রূপরেখা তৈরি হয়ে আছে প্রায় এক যুগ হতে চলল। যদিও ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বিশেষ করে পশ্চিববেঙ্গর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তি আজও সই করা সম্ভব হয়নি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, ভারত ও এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।
তিস্তা চুক্তি না হওয়াটা একটা দুঃখজনক বাস্তবতা বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।